ব্রণের সমস্যা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে রাখুন

প্রিয় পাঠক, আপনারা ব্রণের সমস্যা সম্পর্কে জানার জন্য বেশ চিন্তিত। সৌন্দর্য বিকাশের ক্ষেত্রে ব্রণ একটি দারুণ সমস্যা। চিন্তার কোন কারণ নেই, আমি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে দেখানোর চেষ্টা করব কিভাবে আপনারা ব্রণের সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পাবেন।

ব্রণের সমস্যা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে রাখুন

প্রিয় আর্টিকেল পাঠক, আপনাদের সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য আমি ব্রণের সমস্যা সম্পর্কে বেশ কিছু খুঁটিনাটি বিষয়ে আলোচনা করেছি। বিস্তারিত জানতে আমার সাথেই থাকুন।

 ব্রণ কি ?

অ্যাকনি ভালগারিস বা ব্রণ হলো মানব ত্বকের একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ জনিত সমস্যা। যা বিশেষত লালচে ত্বক, প্যাপুল, নডিউল, পিম্পল, তৈলাক্ত ত্বক ও ক্ষত চিহ্ন দেখে সহজে বোঝা যায়। এটি সাধারনত তৈলাক্ত গ্রন্থি বন্ধ হয়ে গেলে দেখা দেয়। ব্রণ সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালে বেশি হয়। তবে এ নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই।

ব্রণ কেন হয় ?

ত্বকের অন্যতম প্রধান সমস্যা হচ্ছে ব্রণ। মুখে ব্রণ হওয়ার জন্য অনেকগুলো কারণ রয়েছে। যেমনঃ অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন, অনিয়মিত খাদ্যাভাস, মসলাদার খাবার, পানি কম খাওয়া এবং সর্বোপরি ত্বকের যত্ন না নেওয়া ইত্যাদি। সাধারণত এ সমস্ত কারণে ত্বকে ব্রণ হয়ে থাকে।

মেয়েদের মুখে ব্রণ উঠার কারন কি ?

রূপ চর্চার একটি আতঙ্কের নাম হচ্ছে ব্রণ। সব বয়সী নারী-পুরুষই ব্রণ নিয়ে যথেষ্ট টেনশানে থাকে। মুখে অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহার, বংশগত, খাদ্যগত, নিদ্রাহীনতা, হরমোনের পরিবর্তন, ভুল প্রসাধনীর ব্যবহার ইত্যাদি কারণে মেয়েদের মুখে ব্রণ হয়ে থাকে। এ ছাড়াও প্রপিয়নিব্যাকটেরিয়াম নামক এক প্রকার  ব্যাকটেরিয়া মূলত ব্রণের জন্য দায়ী।

কোন ভিটামিনের অভাবে ব্রণ হয় ?

ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় মোটামুটি সবাই ভোগেন। যার মধ্যে ব্রণ অন্যতম। সাধারণত ভিটামিন এ, বি ৩, সি এবং জিংক এর অভাবে ব্রণ বা ফুসকুড়ি হতে পারে।

ব্রণ কত বছর বয়স পর্যন্ত হতে পারে ?

ব্রণের সমস্যায় একেবারে জর্জরিত হননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। সাধারণত বয়ঃসন্ধিকাল থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষেরও ব্রণ হতে পারে। তবে টিনেজারদের অর্থাৎ ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সের মানুষের এই সমস্যা সবচাইতে বেশি হয়।

ব্রণের সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়গুলো কি কি ?

ব্রণ হওয়া খুব স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। নানান কারণে এই ব্রণ হতে পারে। তবে ব্রণের সমস্যা যদি ভয়াবহ হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। কিছু ঘরোয়া উপায়ে ব্রণের সমস্যা কমিয়ে আনা যেতে পারে। যেমনঃ

১। ডায়েট ও স্বাভাবিক জীবনঃ

প্রথমে ডায়েট এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় নজর দিন। স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে না পারলে শরীরের উপর প্রভাব পড়বে এবং শরীরের উপর প্রভাব পড়লে তা ত্বকের মাধ্যমে প্রতিফলন ঘটাবে। এতে ত্বকের সমস্যা বাড়বে। তাই সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন যাপন করুন। দেখবেন ব্রণের সমস্যা আপনা আপনি কমে যাবে।

২। নিমপাতা ও হলুদ মিশ্রণ ব্যবহারঃ

ব্রণের সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তির একমাত্র সমাধান নিমপাতা ও হলুদের মিশ্রণ ব্যবহার। প্রথমে নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ বেটে নিন। তারপর সমপরিমাণ নিমপাতা বাটা ও হলুদ বাটা একত্রে মিশিয়ে আলতো করে লাগিয়ে নিন। এভাবে দীর্ঘদিন ব্যবহার করুন। দেখবেন আপনার মুখের ব্রণ চিরতরে চলে যাবে।

তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ দূর করার উপায়।

ব্রণ ওঠার নানাবিধ কারণ রয়েছে। যেমনঃ

১। তেল নিঃসরণ বন্ধঃ

ব্রণ দূর করতে হলে সর্বপ্রথম মুখের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ বন্ধ করতে হবে।

২। চন্দন ব্যবহারঃ

চন্দনে রয়েছে নানাবিধ গুণ। ব্রণ উঠা নিয়ন্ত্রণে চন্দন দারুন কাজ করে।

৩। হলুদ ব্যবহারঃ

ত্বকের যত্নে হলুদের ব্যবহার সবারই জানা। তাই নিয়মিত কাঁচা হলুদ বেটে ব্যবহার করতে হবে।

৪। নিমের পেস্ট ব্যবহারঃ

মুখের ব্রণ উঠা নিয়ন্ত্রণ নিমের পেস্ট ব্যবহারের জুড়ি নেই। তাই নিয়ম করে নিয়মের পেস্ট ব্যবহার করতে হবে।

৫। তুলসী পাতার রস ব্যবহারঃ

তুলসী পাতা ব্রণের ঘরোয়া চিকিৎসায় ব্যাপক উপকার করে। নিয়মিত তুলসী পাতার রস ব্যবহার করলে ব্রণ ভালো হয়।

৬। লেবুর রসঃ

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে লেবুর রস সবচেয়ে ভালো একটি উপাদান। লেবুতে থাকা সাইটিক এসিড তৈলাক্ত ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণ করে ব্রণ ওটা বন্ধ করে।

কি খেলে ব্রণ দূূর হয় ?

যেসব খাবার আপনাকে ব্রণ থেকে দূরে রাখবে সেগুলো হলঃ

১। পানি পানঃ

পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে যা আমাদের শরীরে পুষ্টি ও অক্সিজেন বহন করে।

২। লেবুর রসঃ

লেবুর রস শরীরে এসিড বর্জ্য দূর করতে সাহায্য করে। ফলে ব্রণ ওঠা বন্ধ হয়।

৩। তরমুজঃ

ব্রণসহ ত্বকের যে কোন দাগ দূর করতে তরমুজ ব্যাপক সাহায্য করে।

৪। দইঃ

দইয়ে আছে এন্ট্রিফাঙ্গাল ও এন্ট্রিব্যাকটেরিয়াল গুন যা ব্রণ উঠা বন্ধ করতে সাহায্য করে।

৫। আপেলঃ

আপেল ব্রণ ওঠা বন্ধে ভূমিকা রাখে।

৬। আখরোটঃ

আখরোট ব্রণ উঠা বন্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

৭। গাজরঃ

ব্রণ নিয়ন্ত্রণে গাজরের ভূমিকা ব্যাপক।

ব্রণ দূর করার ঔষধের নাম কি ?

ব্রণ দূর করার বাজারে অনেক ওষুধ প্রচলিত আছে। তবে যে ওষুধগুলো ব্রণ নিরাময়ে সবচেয়ে বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখে সেগুলো হলঃ

ট্রেটিভা 10 mg

আইসোবেস্ট 10mg

আইসোট্রোইন 10mg ।

সোট্রেট 10mg

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪