অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

প্রিয় পাঠক,আপনারা অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ জানার জন্য  বেশ চিন্তিত। চিন্তার কোন কারণ নেই ,আমি এই পোস্টের মাধ্যমে অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ।

অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ  হওয়ার কারণ সম্পর্কে  বিস্তারিত জানুন

প্রিয় আর্টিকেল পাঠক,আমার এই পোস্টটি সম্পূর্ণরুপে পড়তে থাকুন। আপনার সকল সমস্যার সমাধান এখানেই  পেয়ে যাবেন।

পিরিয়ড শুরু হওয়ার গড় বয়স কত ?

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে , মেয়েদের পিরয়ড শুরুর নিদিষ্ট  কোন বয়স নেই । তবে আগের  যুগে ১৪-১৬ বছর ,মেয়েদের পিরিয়ড শুরুর গড় বয়স হিসাবে ধরা হয় । আর এখনকার সময়ে মধ্যবিও ও উচ্চবিও সমাজে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ১২-১৩ বছর বয়সে পিরিয়ড শুরু হয়ে যাচ্ছে ।

কত বছর বয়সে মাসিক বন্ধ হয় ?

মেনোপজ  মেয়েদের একটি স্বাভাবিক  শারীরিক  প্রকৃয়া । এটি নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে নিজেদের কোন হাত নেই । সাধারনত ৪৫-৫৫ বছর বয়সে মেয়েদের মেনোপজ বন্ধ হয়ে যায় । তবে কখন ও কখন ও এর ব্যতিক্রম ঘটে ।

অবিবাহিত মেয়েদের অনিয়মিত মাসিক কেন হয় ?

মেয়েদের অনিয়মিত মাসিক হওয়ার পেছনে নানাবিধ  কারণ  লুকায়িত আছে । সাধারণত অতিরিক্ত পরিশ্রম,অবসাদগ্রস্থতা  ,দুর্বলতা ও জীবনযাত্রায়  আমূল কোন পরিবর্তনের ফলে অনিয়মিত মাসিক হতে পারে । এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা যেমনঃ জরায়ুতে  টিউমার ,মনোনিউক্লিওসিস, সর্দিজ্বর,গলাব্যাথা ইত্যাদি কারণে ও অনিয়মিত মাসিক হতে পারে ।  

অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হলে করণীয় 

মেয়েদের জরায়ু প্রতিমাসে যে চক্রাকার পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে রক্ত ও জরায়ু  নিঃসৃত রস যোনিপথ দিয়ে বের করে দেয় তাকেই ঋতুচক্র বা মাসিক বলে । আর এই মাসিক অনিয়মিত হলে করণীয় ঃ অতিরক্ত পানি পান করা ,অতিরক্ত  ওজন নিয়ন্ত্রণ করা ,খাবার বড়ি নিয়মিত খাওয়া  ও পর্যাপ্ত সুষম  খাবার খাওয়া । এছাড়া ও  খ্যাদ্য হিসাবে মাছ ,মাংস,দুধ ,ডিম ,শাঁক- সবজি ও মৌসুমি ফলমূল নিয়মিত খেতে  হবে ।

মেয়েদের পিরিয়ড হলে কি হয় ?

পিরিয়ডের দিন গুলোতে কম বেশী সব মেয়েদেরকেই কোন না কোন সমস্যায় পড়তে হয় । প্রোস্টগ্ল্যান্ডিন নামক হরমোনের কারণে মাসিকের সময় জরায়ুর সংকোচনের ফলে তলপেটে তীব্র ব্যাথা হয় । এ ছাড়াও পিরিয়ডের সময় মেয়েদের যে সমস্যাগুলো  হয় সে গুলো হলো মাথা ব্যাথা,মাথা ঘোরা ,বমি বমি ভাব ,দুর্বলতা , ক্লান্তি ,অবসাদ ইত্যাদি ।

মাসিক বন্ধ হয় না কেন ?

চিরাচরিত প্রাকৃতিক নিয়মে একটি নিদষ্ট বয়সে মাসিক বন্ধ হয়ে যাবার কথা । কিন্তু বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা থাকলে  একটি নিদিষ্ট বয়সে এসেও মাসিক বন্ধ হয় না । এ গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে জরায়ুতে টিউমার । তাই  পরপর দুই তিন মাস মাসিক বন্ধ থাকলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন 

পিরিয়ডের ব্যাথা কমানোর ঘরোয়া উপায় ?

পিরিয়ড মহিলাদের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া । প্রতিমাসে পিরিয়ড মহিলাদের গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুত করে। কিন্তু পিরিয়ডের সময় খিটখিটে মেজাজ,মাথা ব্যাথা,পেট ব্যাথা, কোমর  ব্যাথা,হাত পা জ্বালা পোড়া এবং বমি বমি ভাব সহ নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে । এই সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য ৭টি ঘরোয়া উপায় বর্ণনা করা হলো যার মাধ্যমে আপনি অনেক উপকার  পাবেন ।

১।আরামদায়ক পোশাকঃ এ সময় প্যান্ট জিন্সের মতো পোশাক না পরে ঢিলেঢালা পোশাক পরুন উপকার পাবেন।

২।পর্যাপ্ত ঘুম ঃএ সময় পর্যাপ্ত ঘুমান । মানসিক চাপ ও ব্যাথা কমাতে সাহায্য করবে।

৩ ।জোয়ান ঃজোয়ানে পর্যাপ্ত পরিমান প্রোটিন,কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার থাকে । যা পিরিডের সময়ের ব্যাথা কমাতে সাহয্য করে। জোয়ান গরম জলে সিদ্ধ করে  সেই পানি খাবেন এবং সাথে সাথেই ব্যাথা থেকে উপসম পাবেন ।

৪ ।সুষম খাদ্যঃ পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে পচুর পরিমান জল,ফল,শকসবজি ও শরবত খাবেন উপকার পাবেন ।

৫।গরম জলে গোসলঃ এ সময় গরম জলে গোসল করুন মেজাজ ও শরীর ঠিক থাকবে ।

৬।চকলেট খানঃ এ সময় চকলেট খেলে আপনার  পিরিয়ডের ব্যাথা কম থাকবে ।

৭ ।গরম জলে সেঁকঃ এ সময় গরম জলে সেঁক দিলে ব্যাপক উপকার পাবেন । এতে আপনি হট ওয়াটার ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। 

মাসিকের কতদিন পর সহবাস করা যায় ?

প্রতিটি নারীকে পিরিয়ড বা মাসিক চক্র সম্পর্কে সঠিক ধারনা রাখতে হবে । মাসিক ভালো হওয়ার পর ফরজ গোসল করতে হয় এবং গোসল করার পর স্ত্রী সহবাস করা যায় ।

মাসিকের সময় কি স্ত্রী সহবাস করা যায় ?

না । মাসিকের সময় স্ত্রী সহবাস করা যায় না। প্রত্যেক নারীর জন্য পিরিয়ড একটি স্বাভাবিক হরমোন ঘটিত ব্যাপার । পবিত্র কুরআনে সূরা আল বাকারার ২২২ নং আয়াতে মাসিকের সময় স্ত্রী সহবাস সম্পূ্র্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে । 

প্রাকৃতিক উপায়ে পিরিয়ড দ্রুত শেষ করার উপায় ?

টক জাতীয় ফল খাওয়া মাসিকের জন্য ভীষণ উপকারী । টক জাতীয় ফল খেলে মাসিক দ্রুত শেষ হয় ।যেমন  ঃতেঁতুল,মাল্টা ,লেবু ,জলপাই ইত্যাদি । এছাড়াও এক কাপ পানিতে দেড় চা চামচ আদা মিশিয়ে কিছুক্ষণ সিদ্ধ করে প্রতিদিন খাবেন । এতেও উপসম না হলে একটি পাত্রে কিছু পরিমান মেথি মিশিয়ে ফুটিয়ে ছেঁকে পান করলে উপকার পাবেন ।

মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ ,লক্ষণ ও প্রতিকার । 

কারণ ঃ

বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণে মাসিক বন্ধ হয় । যেমন ঃ ওভারিয়ান ফলিকুলারের কার্যক্ষমতা কমে গেলে মাসিক বন্ধ হয়  ও  ওভারিয়ান ফেউলির হলে মাসিক বন্ধ হয় । এছাড়াও কোন কারণে দুটি ওভারি ফেলে দিলে মাসিক বন্ধ হয় ।

লক্ষণঃ   যে সব লক্ষণ দেখা গেলে মাসিক  বন্ধ হয় । ভেসোমোটর ঃ হাত পা জ্বালা ,বুক ধড়পড় করা ,রাতে ঘুম না হওয়া । ইউরোজেনিটালঃ প্রশ্রাবে জ্বালা পোড়া করা ,প্রশ্রাব ধরে রাখতে না পারা  ,সাদাশ্রাব হওয়া,যোনিতে ইনফেকশান ও যৌন চাহিদা বা কামভাব কমে যাওয়া ।

প্রতিকার ঃরোগীকে বোঝাতে হবে এটি কোন রোগ নয় । এটি  একটি স্বভাবিক শরীরবৃত্তীয় প্রকৃয়া যা এমনিতেই সেরে যাবে । এ ছাড়াও রোগীকে পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে  এবং ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম খাওয়া যেতে পারে । প্রয়োজন  হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪