জাতীয় ফল কাঁঠাল খাওয়ার অবিশ্বাস্য উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

প্রিয় পাঠক, আপনারা জাতীয় ফল কাঁঠাল খাওয়ার অবিশ্বাস্য উপকারিতা সম্পর্কে জানার জন্য বেশ চিন্তিত। কাঁঠাল অত্যন্ত পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি ফল। চিন্তার কোন কারণ নেই, আমি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জাতীয় ফল কাঁঠাল খাওয়ার অবিশ্বাস্য উপকারিতা সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব।

জাতীয় ফল কাঁঠাল খাওয়ার অবিশ্বাস্য উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

প্রিয় আর্টিকেল পাঠক, আপনাদের সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য আমি জাতীয় ফল কাঁঠাল খাওয়ার অবিশ্বাস্য উপকারিতা সম্পর্কে বেশ কিছু খুঁটিনাটি বিষয়ে আলোচনা করেছি। বিস্তারিত জানতে আমার সাথেই থাকুন।

 কাঁঠাল কি ?

কাঁঠালের বৈজ্ঞানিক নাম ARTOCARPUS HETEROPHYLLUS। যেটি মোরাসিয়া পরিবারের আর্টোকার্পাস গোত্রের একটি ফল। কাঁঠাল হলুদ রংয়ের গ্রীষ্মকালীন সুমিষ্ট একটি ফল। কাঁঠাল আমাদের দেশের জাতীয় ফল। বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গাতে কাঁঠাল গাছ দেখতে পাওয়া যায়। কাঁঠাল গাছের কাঠ আসবাবপত্রের জন্য অতি উত্তম।

আমাদের দেশের জাতীয় ফলের নাম কি ?

আমাদের দেশের জাতীয় ফলের নাম কাঁঠাল।

কাঁঠালের পুষ্টিগুণ।

কাঁঠালের পুষ্টিগুণ জানলে যে কেউ অবাক হবে এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। গ্রীষ্মকালীন রসালো ফল কাঁঠালে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ক্যারোটিনসহ নানা রকমের খনিজ উপাদান। কাঁঠালের এসব পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীর গঠনে এবং শরীর সুস্থ সবল রাখতে দারুন ভূমিকা রাখে।

 পুষ্টিবিদদের মতে, এক কাপ কাঁঠালে ১৫৭ ক্যালোরি, ২ গ্রাম ফ্যাট, ৩ গ্রাম প্রোটিন, ৩৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৪০ গ্রাম ক্যালসিয়াম এবং প্রচুর পরিমাণে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট থাকে।

জাতীয় ফল কাঁঠাল খাওয়ার অবিশ্বাস্য উপকারিতা সম্পর্কে জেনে রাখুন।

জাতীয় ফল কাঁঠাল খাওয়ার অবিশ্বাস্য উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের সবারই জানা উচিত। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য যে, আমরা অনেকেই জাতীয় ফল কাঁঠাল খাওয়ার অবিশ্বাস্য উপকারিতা সম্পর্কে জানিনা। গ্রীষ্মকালীন অত্যন্ত সুমিষ্ট এবং আকর্ষণীয় ফল হল কাঁঠাল। এটি আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের কাছে প্রিয় একটি ফল।

 কাঁঠালের বিচি থেকে শুরু করে কাঁঠালের কোন অংশই ফেলনা নয়। সুস্বাদু এই ফল আমাদের নানাভাবে উপকার করে থাকে। নিম্নে জাতীয় ফল কাঁঠাল খাওয়ার অবিশ্বাস্য উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

১। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখেঃ কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে দারুণ কাজ করে।

২। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ বর্তমান সময়ে অনেকেরই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা রয়েছে। কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে দারুন কাজ করে।

৩। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ আমাদের দেশে হৃদরোগীর সংখ্যা একেবারেই কম নয়। কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। তাই কাঁঠালে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

৪। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ কাঁঠালে থাকা পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। যার ফলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।

৫ ত্বক ভালো রাখেঃ কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। যা ত্বক কোমল ও সতেজ রাখতে দারুন ভূমিকা রাখে।

৬। ওজন নিয়ন্ত্রণ করেঃ কাঁঠাল খেলে দীর্ঘক্ষন পেট ভরা থাকে। ফলে অতিরিক্ত খাবারের প্রবণতা কমে যায়। সে কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৭। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ কাঁঠালে থাকা শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট মানবদেহে ক্ষতিকর ফ্রিরেডিকেলস থেকে রক্ষা করে। যার ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়।

৮। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ কাঁঠালে থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৯। হাড় ও দাঁতেরর গঠনে ভূমিকা রাখেঃ কাঁঠালে থাকা ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম শরীরের হাড় ও দাঁতের গঠনে দারুন ভূমিকা রাখে।

১০। রক্তস্বল্পতা দূর করেঃ কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকে। যা শরীরের রক্তস্বল্পতা দূরীকরণে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।

১১। হজম শক্তি বাড়ায়ঃ শরীর সুস্থ রাখার জন্য হজম শক্তি ভালো রাখা বেশ জরুরি। কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকায় হজম শক্তি বাড়ায়। যা মানব শরীরের জন্য বিশেষ প্রয়োজন।

কাঁঠালের বিচির উপকারিতা।

জাতীয় ফল কাঁঠাল খাওয়ার অবিশ্বাস্য উপকারিতা জানার পরও অনেকে এটি পছন্দ না করে এর বিচি পছন্দ করে। কাঁঠালের বিচি রান্না করে, ভর্তা করে এবং ভেজে খাওয়া যায়। নানা রকম পুষ্টিগুনে ভরপুর কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে অনেক উপকারিতা। নিম্নে কাঁঠালের বিচির উপকারিতার কথা বলা হলোঃ

* কাঁঠালের বিচি হজম শক্তি বাড়ায়।

* কাঁঠালের বিচি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

* কাঁঠালের বিচি বলি রেখা দূর করে।

* কাঁঠালের বিচি ত্বকের রোগ নিরাময়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

*  কাঁঠালের বিচিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। যা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। 

*কাঁঠালের বিচি রাতকানা রোগ নিরাময়ে ভূমিকা রাখে।

* কাঁঠালের বিচি অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা দূর করে।

*কাঁঠালের বিচি নিয়মিত খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে।

*কাঁঠালের বিচিতে থাকা প্রোটিন মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

কাঁঠাল খেলে কি ওজন বাড়ে ?

কাঁঠাল শারীরিক শক্তির অন্যতম একটি উৎস। এতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা রয়েছে। তবে কাঁঠালের বিচিতে চর্বির পরিমাণ কম থাকায় ওজন বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

কাঁঠালের অপকারিতা।

কাঁঠাল আমাদের দেশের জাতীয় ফল। জাতীয় ফল কাঁঠাল খাওয়ার অবিশ্বাস্য উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমনি এর অপকারিত রয়েছে। যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের কাঁঠাল খাওয়া উচিত নয়। কেননা এতে ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে। এছাড়াও কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীদের কাঁঠাল খাওয়া উচিত নয়। কেননা এতে আক্রান্ত রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪