পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতমালা হিমালয় শৃঙ্গ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

প্রিয় পাঠ, আপনারা পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতমালা হিমালয় শৃঙ্গ সম্পর্কে জানার জন্য বেশ চিন্তিত। পৃথিবীর বিষ্ময়কর এক পর্বতমালা হচ্ছে হিমালয়। চিন্তার কোন কারণ নেই ,আমি এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতমালা হিমালয় শৃঙ্গ সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব।

পৃথিবীর সর্বোচ্চ  পর্বতমালা হিমালয় শৃঙ্গ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

প্রিয় আর্টিকেল পাঠক, আপনাদের সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য আমি পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতমালা হিমালয় শৃঙ্গ সম্পর্কে বেশ কিছু খুঁটিনাটিঁ বিষয়ে আলোচনা  করেছি। বিস্তারিত জানতে আমার সাথেই থাকুন। 

হিমালয় পর্বতমালা বলতে কি বোঝায় ?

হিমালয় পর্বতমালা বলতে এশিয়ার সেই সব পর্বতমালাকে বোঝায়, যা ভারতীয় উপমহাদেশকে তিব্বতীয় মালভূমি থেকে পৃথক করেছে। পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতমালা হিমালয় শৃঙ্গ দক্ষিণ এশিয়ার বিশাল এলাকা জুড়ে অবস্থিত। হিমালয় পর্বতমালার তিনটি রেঞ্জ রয়েছে বাইরের হিমালয়, মধ্য হিমালয় এবং অভ্যন্তরীণ হিমালয়। হিমালয়ের সবচাইতে উত্তরের রেঞ্জ বৃহত্তর হিমালয় নামে পরিচিত। 

হিমালয় পর্বতমালার দৈর্ঘ্য,প্রস্থ ও উচ্চতা কত ?

 পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতমালা হিমালয় শৃঙ্গ পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে নবীনতম ও সর্বোচ্চ পর্বতমালা। অধিকাংশ বিশেষজ্ঞদের মতে এই পর্বতমালার দৈর্ঘ্য ২৪০০ কিলোমিটার থেকে ২৫০০কিলোমিটার, প্রস্থ পশ্চিমে ৩৫০ কিলোমিটার ও পূ্র্বে ১৫০ কিলোমিটার এবং  উচ্চতা  প্রায় ৮৮৪৮ মিটার।

হিমালয় পর্বতমালা পৃথিবীর কোথায় অবস্থিত 

হিমালয় পর্বতমালা এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত। এটি ভারতীয় উপমহাদেশের উওর-পূর্ব এলাকা জুড়ে অবস্থিত। এক কথায় বলতে গেলে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতমালা হিমালয় শৃঙ্গ নেপালে অবস্থিত।

হিমালয় পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কি ?

 এই পর্বতমালায় বেশ কিছু সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ রয়েছে। হিমালয় পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম মাউন্ট এভারেস্ট।

হিমালয় পর্বতমালা কোন কোন দেশে অবস্থিত 

এশিয়া মহাদেশের একটি পর্বতমালা হচ্ছে হিমালয়। এটি অনেকগুলো পর্বতের সমম্বয়ে গঠিত। হিমালয় পর্বতমালা ৫টি দেশে অবস্থিত। যেমনঃ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান ও চীন। এটি বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ। এছাড়াও আট হাজার মিটারেরও বেশী উচ্চতা সম্পূর্ণ বেশ কয়েকটি পর্বত রয়েছে।যেমনঃকাঞ্চনজঙঘা, কে-টু , মাকালু , ধবলগিরি ও অন্নপূর্ণা পর্বত অন্যতম। 

পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতমালা হিমালয় শৃঙ্গ কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে ?

পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতমালা হিমালয় শৃঙ্গ আমাদের কাছে বিশাল এক বিষ্ময়কর পর্বতমালা। হিমালয় পর্বতমালা শুধু অসম্ভব রকমের বিশালই নয় অপরুপ সুন্দর ও বটে। পাত সংস্থান মতবাদ অনুযায়ী পৃথিবীতে ৭ টি বৃহৎ এবং ২০ টি  ক্ষুদ্র পাত বা প্লেট রয়েছে। আর ভূত্বক কতকগুলি পাত বা প্লেটের সমন্বয়ে গঠিত। আজ যেখানে হিমালয় পর্বত অবস্থিত কোটি কোটি বছর পূর্বে সেখানে টেথিস সাগরের অবস্থান ছিল। এই টেথিস সাগরের উওরে ছিল ইউরেশীয় প্লেট এবং দক্ষিনে ছিল ভারতীয় প্লেট। টারশিয়ারী যুগে ভূ-আন্দোলনের ফলে এই দুই প্লেট পরস্পর কাছাকছি আসতে থাকে এবং এই দুই প্লেটের সংঘর্ষের ফলেই হিমালয় পর্বতমালার সৃস্টি হয়।

হিমালয় পর্বতমালা কোন কোন শিলা দ্বারা গঠিত ?

এক সময়ের টেথিস সাগরের তলদেশে গড়ে উঠা হিমালয় পর্বতমালা  গ্রানাইট শিলা দ্বারা গঠিত।

হিমালয় পর্বতমালা কোন জাতীয় পর্বত ?

পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতমালা হিমালয় শৃঙ্গ পৃথিবীর নবীনতম ভঙ্গিল পর্বতের একটি। অর্থাৎ এটি একটি ভঙ্গিল পর্বত। কারণ হিসাবে বলা যায় এই পর্বতের  উত্থান এ খন ও  চলছে।

এভারেস্ট জয়ী বাংলাদেশের প্রথম নারী ও পুরুষ কে কে ?

২০১২ সালের ১৯শে মে বাংলাদেশের প্রথম নারী হিসাবে এভারেস্ট জয় করেন নিশাত মজুমদার। নিশাত মজুমদার ঢাকার বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্র্যাকিং ক্লাবের সদস্য। আর ২০১০ সালের  ২৩শে মে বাংলাদেশের প্রথম পুরুষ হিসাবে এভারেস্ট জয় করেন মুসা ইব্রাহিম।

হিমালয় পর্বতমালার পাদদেশে কি কি রয়েছে 

তরাই হিমালয় পর্বতমালার পাদদেশে অবস্থিত জলাভূমি, তৃণভূমি ও অরণ্যময় অঞ্চল। তরাই অঞ্চলটি হিমালয় পর্বতমালার দক্ষিণে ও গাঙ্গেয় সমভূমির উত্তর পাশে অবস্থিত। যমুনা নদীর পাশ দিয়ে ভারতের হিমাচল প্রদেশ এবং হরিয়ানা থেকে পূর্বে উত্তর প্রদেশ ও বিহার পর্যন্ত বিস্তৃত।

হিমালয় পর্বতমালা থেকে কোন কোন নদী উৎপত্তি  লাভ  করেছে ?

সিন্ধু নদঃ সিন্ধু নদের দৈর্ঘ্য ২৮৮০ কিলোমিটার। উৎপত্তিঃ তিব্বতের মানস সরোবর সিঙ্গিখাবাব হিমবাহ থেকে উৎপন্ন লাভ করেছে। তারপর জাস্কর ও লাদাকের ভিতর দিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছে।পরবর্তীতে আরব সাগরে পড়েছে।

গঙ্গা নদীঃ গঙ্গা নদীর দৈর্ঘ্য ২৫২৫ কিলোমিটার। গঙ্গা নদী ভারত ও বাংলাদেশে প্রবাহিত একটি আন্তর্জাতিক নদী। উৎপত্তি ঃ ভারতের উত্তর অঞ্চলের কাশী জেলার গাঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে গঙ্গা নদী। গঙ্গা নদী উৎপত্তি স্থলে ভগীরথী নামে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে অলকানন্দর সাথে মিলিত হয়ে গঙ্গা নামে প্রবাহিত হয়েছে এবং বহু পথ অতিক্রম করে অবশেষে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়েছে।

ব্রহ্মপুত্র নদ ঃ ব্রহ্মপুত্র নদের দৈর্ঘ্য ২৯০০ কিলোমিটার। উৎপত্তি ঃ তিব্বতের মানস সরোবর ও কৈলাস পর্বতের মধ্যবর্তী চেমায়ুং দুং হিমবাহ থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। ব্রহ্মপুত্র নদ বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলায় প্রবেশ করেছে এবং তিস্তার সঙ্গে মিলিত হয়ে আবার দুভাগে বিভক্ত হয়েছে। একটি শাখা যমুনা নাম ধারন করে পদ্মার  সাথে মিলিত হয়েছে। সবচেয়ে বেশী জল বহন করে ব্রহ্মপুত্র নদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪